খন্দকার আদুল্লাহঃ অদ্য ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ খ্রি. তারিখ বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ধুলজোড়া গ্রামের শরীফ বাড়ির কাছে কুমার নদের পাড়ে জনৈক মোঃ মিজান শরীফ, সাং- ধুলজোড়া, জয়পাশা, পরমেশ্বরদী, বোয়ালমারী বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর বিধান ভঙ্গ করে বালু ও মাটি উত্তোলনের জন্য বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ভেকু/এক্সকেভেটর দিয়ে সরকারি মাটি উত্তোলন করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অদ্য দুপুর ১২.১৫ ঘটিকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, বোয়ালমারী জনাব মোঃ রেজাউল করিম। ভ্রাম্যমান আদালতে প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব নৃপেন পুইস্তা, এএসআই, বোয়ালমারী থানা।
মূল উত্তোলনকারী (অবৈধ/অননুমোদিত ঠিকাদার) উল্লিখিত জনাব মোঃ মিজান শরীফকে ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ড ও ০১ (এক) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড (উভয়দণ্ড) প্রদান করা হয়; অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে ০১ মাসের কারাদণ্ডের অতিরিক্ত আরও ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও একাজে সহযোগিতা (ভেকু/এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি তোলা এবং গাড়ি দিয়ে মাটি পরিবহন) করার কারণে তিনজনের (বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামের টুটুল ফকির; বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী গ্রামের মোঃ মতি মোল্যা; ফরিদপুর সদর উপজেলার কোতয়ালি থানার মোঃ সাকিব মাতুব্বর) প্রত্যেককে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে মোট ১,৫০,০০০ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। সহযোগিতাকারী তিনজনের একজনকে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
গোপনে বা ক্ষেত্রবিশেষে উপজেলা প্রশাসনের অনুমোদন আছে মর্মে সাধারণ জনগণের নিকট মিথ্যে তথ্য দিয়ে যেসব অসাধু চক্র অবৈধভাবে বালু/মাটি উত্তোলন করে, তাদেরকে উপযুক্ত আইনের আওতায় আনয়নের নিমিত্ত তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো। মাটি ও বালু খেকোদের পুনরায় সতর্ক করা হলো। পরবর্তীতে এরূপ চক্রের বিরুদ্ধে অধিকতর কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply